আগে খারাপ ডিজাইনার তো হন : Legend says “if you want to good at something you first willing to be bad at it”
কিংবদন্তি মতে “আপনি যদি কোনোকিছুতে ভালো হতে চান তবে আপনাকে আগে সে বিষয়ে খারাপ হতে হবে।
কিংবদন্তি মতে “আপনি যদি কোনোকিছুতে ভালো হতে চান তবে আপনাকে আগে সে বিষয়ে খারাপ হতে হবে।
কিন্তু খারাপ ডিজাইনার কেন হতে যাবেন? কারন ভালো হওয়ার জন্যে অবশ্যই আপনার ভালো করার ইচ্ছা থাকতে হবে। মনে রাখবেন যে কাপ আগেই পানিতে ভরে আছে, সেটাকে নতুন পানিভর্তি করার জন্য আগের পানি ফেলে দিতে হয়। স্টিভ জবস তো বলেই গেছেন, “Stay Hungry, Stay Foolish”। তাই ভালো হওয়ার জন্যে অবশ্যই খারাপ আগে হতে হবে। খারাপ অবস্থা থেকে নিশ্চয় আপনি একদিনে ভালো ডিজাইনার হতে পারবেন না আপনাকে অবশ্যই ধীরে ধীরে ইম্প্রুভ করতে হবে।
কপি পেস্ট : ডিজাইনারদের কপিরাইট নিয়ে প্রায়ই সমস্যায় পড়তে দেখা যায় । তারা প্রায়ই অন্যের কাজকে নিজের বলে চালিয়ে দেন(মাঝে মাঝে ভাবি এদেশে কপিরাইট আইনের প্রয়োগ হলে না জানি কি হত)। সমস্যা ওই জায়গায় না সমস্যা কপি করে স্বীকার করতে না পারার মধ্যে। অবশ্যই ভালো ডিজাইনারদের কাজ A to Z কপি করবেন এবং বুক ফুলিয়ে বলবেন আমি অমুক (ভালো) ডিজাইনারের কাজ কপি করেছি(অবশ্যই পোর্টফোলিওতে পাবলিশ করবেন না )। As Picasso said “Good artist copy, Great artist steal”
সিম্পলিসিটি : সিম্পলিসিটি হচ্ছে যেকোনো ডিজাইনের মুলমন্ত্র। তা আপনি কম ডিটেলসের মাধ্যমেও ফুটিয়ে তুলতে পারেন আবার বেশি ডিটেলসের মাধ্যমেও পারেন। সেটা সম্পুর্ন নির্ভর করছে আপনার সৃজনশীলতার উপর।
সময় নিয়ে ডিজাইন করুন : সৃজনশীল কোনো কাজই তাড়াহুড়োর মধ্যে করা উচিত নয়। বিশেষত ডিজাইনের মত উচ্চমাত্রার সৃজনশীল কাজে আমাদের ব্রেইনের প্রচুর প্রসেসিং ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। কাজেই যদি সময় নিয়ে ডিজাইন না করেন তাহলে দেখবেন যাই করেন না কেন একটা সময় আপনার মনে হবে আপনার আসলে কোনো ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে না।
কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠুন : অনেকসময় ধরে একটা ডিজাইন করার ফলে আপনার একঘেয়ে লাগতে পারে। এসময় প্রয়োজন হয় একটা ব্রেকের। ১০ মিনিটের শর্ট ব্রেক থেকে শুরু করে ১০ দিনের লং ব্রেকও নিতে পারেন। শর্ট ব্রেকের সময় কফি খেতে পারেন আবার শাওয়ারও নিতে পারেন দুটোই সমান উপকারী। লং ব্রেকে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করতে পারেন যেমন আঁকিবুকি, ফটোগ্রাফি আথবা লেখালেখিও করতে পারেন। ব্রেক থেকে ফিরে এসে আপনি আপনার ডিজাইনকে একদম ফ্রেশ চোখে দেখতে পারবেন আর সহজেই ভুলগুলো ধরতে পারবেন।
স্পেশালাইজড স্কিল ডেভলপ করুন : ডিজাইনার হওয়া মানেই “Jack of all Trade” তথা সকল কাজের কাজি(ডিজাইনের ডিজাইনার) হওয়া নয়। নির্দিষ্ট একটা স্কিল খুব ভালোভাবে ডেভেলপ করুন যেমন ধরুন লোগো ডিজাইন ভালো লাগলে আপনি শুধু লোগো ডিজাইন স্কিল ডেভলপ করবেন। আবার ওয়েব ডিজাইন ভালো লাগলে শুধু তাই করুন আপনার প্রিন্ট ডিজাইনার হওয়ার দরকার নেই এবং ভাইস ভার্সা।
স্কেচবুক ব্যবহার করুন : গণিত করার সময় আমাদের প্রায়ই একটা রাফ খাতার প্রয়োজন হয় স্কেচবুক হল ডিজাইনারদের রাফ খাতা। কম্পিউটারে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অবশ্যই আগে স্কেচ করে নিবেন এতে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার আইডিয়া কাজ করবে কিনা।
হাল না ছাড়তে শিখুন : ডিজাইন করতে গিয়ে অনেকসময় আপনার মনেহতে পারে আপনি হয়ত সৃজনশীল নন এক্ষেত্রে মনে রাখবেন পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ডিজাইনারও জন্মগত সৃজনশীল নয়। কঠোর পরিশ্রম আর ক্রমাগত লেগে থেকাই তার সফলতার কারণ। তাই চেষ্টা চালিয়ে যান একসময় আপনি নিজেও একজন ভালো ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারবেন।
Writer: Joynul Abedin Joy
Writer: Joynul Abedin Joy
No comments:
Post a Comment